ভাষা শহীদ রফিক উদ্দিনের স্মৃতি অম্লান করে রাখতে মানিকগঞ্জের সিংঙ্গাইর উপজেলার পারিলে তাঁর নামে গড়ে তোলা হয়েছে পাঠাগার ও জাদুঘর। কিন্তু ওই পাঠাগার ও জাদুঘরে ভাষা শহীদ রফিকসহ অন্য ভাষা শহীদদের জীবনাদর্শ সম্পর্কিত কোনো বই নেই, নেই কোনো স্মৃতিস্মারক। এ কারণে পাঠকসংখ্যা ও দর্শক সংখ্যা কমে যাচ্ছে। পাঠাগার ও জাদুঘরের কথা শুনে দূরদূরান্ত থেকে পাঠক ও দর্শনার্থী এসে হতাশ হয়ে ফিরে যাচ্ছেন।
মাতৃভাষা বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা করার দাবিতে আন্দোলন করতে গিয়ে ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি শহীদ হন মানিকগঞ্জের উজ্জ্বল নক্ষত্র রফিক উদ্দিন আহমদ। মাতৃভাষা রক্ষায় তার এই আত্মত্যাগের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে তার স্মৃতিকে অম্লান করে রাখতে তার নিজ বসতভিটায় নির্মাণ করা হয় শহীদ মিনার। আর তাঁর নিজ গ্রামে প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে রফিক উদ্দিন আহমদ স্মৃতি পাঠাগার ও জাদুঘর। এ ছাড়াও এই মহান শহীদের নামে মানিকগঞ্জের প্রধান সড়কের নামকরণ করা হয় শহীদ রফিক সড়ক এবং মানিকগঞ্জ-হেমায়েতপুর ভায়া সিংগাইর সড়কে বংশী নদীর উপর ধল্লায় নির্মিত সেতুটির নামকরণ করা হয়েছে শহীদ রফিক উদ্দিন সেতু। এই ভাষা শহীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এলাকাবাসী পারিল গ্রামের নামকরণ করেছে রফিকনগর। আর সেখানেই নির্মাণ করা হয় ভাষা শহীদ রফিক উদ্দিন আহমদ স্মৃতি পাঠাগার ও জাদুঘর।
Planning and Implementation: Cabinet Division, A2I, BCC, DoICT and BASIS